Total Pageviews

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Tuesday, September 30, 2014

মূল্যবোধের অবক্ষয় ও বাম রাজনীতি ।। অরূপ বৈশ্য ।।


Sushanta Kar

11:30am Oct 1

কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে এ পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা করা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্ররা জমায়েত হতে শুরু করলে মিছিল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশের পক্ষে কলেজ অধ্যক্ষ সায় দেননি। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ পার হতেই মিছিলের সামনে ব্যারিক্যাড তৈরি করে পুলিশ। রাস্তা অবরূদ্ধ হয়ে যায়, ছাত্ররা রাস্তায় বসে পড়ে। সামনের সারিতে থাকা ছাত্ররা ব্যারিক্যাড ভাঙার প্রচেষ্টা করে। সেসময়ের উঁচুপদের এক পুলিশকর্তা বর্তমান লেখকের সোয়েটারের কলার ধরে টানলে বর্তমানে প্রয়াত আমাদের এক সহপাঠী যশোবন্ত দত্ত আমাকে জাপটে ধরে। পুলিশ দুজনকেই টেনে হেঁচড়ে ভ্যানে উঠিয়ে সদর থানার নিয়ে গিয়ে লক-আপে ঢুকিয়ে দেয়। সন্ধ্যার সময় আমাদের দুজনকে সসম্মানে নিয়ে যাওয়া হয় সার্কিট হাউসের একটি ঘরে। এই ঘরের বৃহৎ আকৃতির এক টেবিলের একদিকে বসে ছিলেন সবার পরিচিত বিশিষ্ট অসমীয়া বুদ্ধিজীবী ও আমাদের অধ্যক্ষ নির্মল কুমার চোধুরী ও অন্যপাশে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। টেবিলের বাকী চেয়ারে আমাদের দুজনকে বসতে বলা হয়।...অরূপ বৈশ্যের (Arup Baisya) লেখা বাকিটা পড়ুন...


       ।। অরূপ বৈশ্য ।।


(এই লেখাটি যাদবপুর ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে শিলচরে ছাত্র মিছিলের দিনেই মিছিলের প্রতিক্রিয়ায় লেখা)


যাদবপুরে পুলিশ


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একপ্রস্ত কুনাট্য হয়ে গেল। এখান থেকে ছাত্র রাজনীতি নিয়েই শুধুমাত্র নতুন প্রশ্ন উত্থাপিত হলো না, উন্মোচিত হলো সর্বস্তরে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বাস্তব চেহারা। যাদবপুরের উপাচার্য ছাত্র-বিক্ষোভকে প্রশমিত করতে নির্ভর করলেন পাশবিক রাষ্ট্রশক্তির উপর। বর্তমান লেখকের ছাত্র-রাজনীতির কিছু ঘটনার উল্লেখ শিক্ষাক্ষেত্রের শিক্ষক প্রশাসকের  মূল্যবোধের তূলনামূলক বিচার করার সহায়ক হতে পারে।


উত্তরণকালীন পর্যায়


যে ঘটনার উল্লেখ এখানে করা হচ্ছে সেই ঘটনার সময়কাল আশির দশক। অর্থাৎ এটা এমন এক সময় যখন সত্তরের দশকের বিদ্রোহী ছাত্র রাজনীতি ম্রিয়মাণ হয়ে আসছে এবং উদার-অর্থনীতির জীয়ন কাঠির ছোঁয়ায় ক্যারিয়ার-সর্বস্ব প্রতিষ্ঠার দিকে ছাত্র-সমাজ আকৃষ্ঠ হয়ে পড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই উত্তরণকালীন পর্যায়ে এমন কিছু সংখ্য্যক ছাত্র ছিল যারা সত্তরের বিদ্রোহী সত্তাকে বহন করে চলেছিল। বর্তমান লেখক এই বিদ্রোহী-চেতনারই একজন বাহক। এভাবে বাহক হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জ্ঞানচর্চার অনেক ত্রুটি ও দুর্বলতা ছিল কিনা এ প্রশ্ন উঠতেই পারে এবং এধরনের প্রশ্ন বর্তমান লেখককেও ভাবিত করে। কিন্তু এই বহমানতার মধ্যে যে একধরনের মানবিক হৃদয়বৃত্তি ছিল তা অনস্বীকার্য। এই হৃদয়বৃত্তি ছাড়া মানব সমাজ মানবিক হয়ে উঠার ঈপ্সিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেত পারে না। মানব সভ্যতার বিকাশের জন্য এটাকে একমাত্র বিশেষত্ব হিসেবে ধরে নিলে নিশ্চয়ই ভুল হবে, কিন্তু এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সামাজিক বিশেষত্ব। যারা মানব সমাজের স্বার্থে ভাড়াটে সৈন্য হিসেবে নয়, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জান বাজি রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চান তাঁরা নিশ্চিতভাবে মহান। কিন্তু যুদ্ধ কী, কার জন্য, কাদের স্বার্থে - সেই বুদ্ধিবৃত্তিগত চর্চা ছাড়া বিভিন্ন অংশগ্রহণের মধ্যে পার্থক্যরেখা টানা যায় না। উঁচুদরের পদার্থবিদ হওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ছাত্র কডওয়েল যখন মাত্র পনেরো বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে দিয়ে প্রথমে সাংবাদিক, কবিতা-সংস্কৃতি-পদার্থবিদ্যার লেখক হয়ে উঠেন ও পরে ফ্যাসিবিরোধী যুদ্ধে কম্যুনিস্ট সৈনিক হিসেবে অল্প বয়সেই আত্মবলিদান করেন, তাঁর প্রতি সম্মানে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়। যাইহউক, প্রারম্ভেই যে উদাহরণের মাধ্যমে সময়ের বিভাজনের সাথে মূল্যবোধের পার্থক্যরেখার কথা উল্লেখ করেছি সেখানে ফিরে আসা যাক।


সময়ের সাথে মূল্যবোধের পার্থক্য


যে কোন কারণেই হোক দুই বছরের সিনিয়র প্রার্থীকে পরাজিত করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হই। ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা ও সিলেবাসের পাঠের প্রতি অনীহা থাকা সত্ত্বেও সময়মত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ধর্মঘটে আগসারির ভূমিকা নিতে ছাত্র-রাজনীতির মূল্যবোধই বাধ্য করে। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকায় পরীক্ষার সময়সূচী, পাঠ্যসূচী, প্রশ্নপত্র তৈরি ইত্যাদি কোন বিষয়েই শিলচর রিজিওন্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিশেষ কোন ভূমিকা ছিল না। তাই আন্দোলনই ছিল একমাত্র হাতিয়ার এবং দাবি আদায়ের জন্য এ আন্দোলন অনেক দূর গড়াত। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রীর শিলচর সফরসূচী উপলক্ষে সার্কিট-হাউস অব্দি মিছিল করে যাওয়া হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে এ পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা করা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্ররা জমায়েত হতে শুরু করলে মিছিল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশের পক্ষে কলেজ অধ্যক্ষ সায় দেননি। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ পার হতেই মিছিলের সামনে ব্যারিক্যাড তৈরি করে পুলিশ। রাস্তা অবরূদ্ধ হয়ে যায়, ছাত্ররা রাস্তায় বসে পড়ে। সামনের সারিতে থাকা ছাত্ররা ব্যারিক্যাড ভাঙার প্রচেষ্টা করে। সেসময়ের উঁচুপদের এক পুলিশকর্তা বর্তমান লেখকের সোয়েটারের কলার ধরে টানলে বর্তমানে প্রয়াত আমাদের এক সহপাঠী যশোবন্ত দত্ত আমাকে জাপটে ধরে। পুলিশ দুজনকেই টেনে হেঁচড়ে ভ্যানে উঠিয়ে সদর থানার নিয়ে গিয়ে লক-আপে ঢুকিয়ে দেয়। সন্ধ্যার সময় আমাদের দুজনকে সসম্মানে নিয়ে যাওয়া হয় সার্কিট হাউসের একটি ঘরে। এই ঘরের বৃহৎ আকৃতির এক টেবিলের একদিকে বসে ছিলেন সবার পরিচিত বিশিষ্ট অসমীয়া বুদ্ধিজীবী ও আমাদের অধ্যক্ষ নির্মল কুমার চোধুরী ও অন্যপাশে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। টেবিলের বাকী চেয়ারে আমাদের দুজনকে বসতে বলা হয়। পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া আমার প্রিয় সোয়েটার (লণ্ডন-নিবাসী আমার এক দাদা আমাকে এটি উপহার দিয়েছিল) টেবিলের উপর রাখি। আলোচনা শেষে আমরা আবার হোষ্টেলে ফিরে যাই এবং পরদিন থেকে আন্দোলন স্থগিত হয়ে যায়। আমাদের অধ্যক্ষ তাঁর নিজের ভূমিকার মাধ্যমেই ছাত্রদের সমীহ আদায় করে নেন, তারজন্য কোন নৈতিক শিক্ষার পাঠ কিংবা নিয়মের শেকল তৈরি করার প্রয়োজন পড়েনি। সত্তর দশকের শেকল ভাঙার সংস্কৃতির প্রভাব আশির প্রথম ভাগেও বিদ্যমান ছিল, তাই কোন শেকল তৈরির প্রচেষ্টাকে অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেওয়ার জন্য ছাত্ররা প্রস্তুত ছিল। আশির দশক এমন এক সময় যখন ছাত্র-আন্দোলন, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, শিক্ষকের ভূমিকা সবকিছুতেই একটা বিপরীত যাত্রা শুরু হয়ে গেছে, এটা এমন পর্যায় যখন ন্যায় প্রতিষ্ঠার ও বৃহদের চিন্তা এবং যেনতেনপ্রকারেণ তথাকথিত উন্নতি ও ক্ষমতা প্রাপ্তির চিন্তার টানাপোড়েনে দ্বিতীয়টির বিজয় পতাকা বাস্তবের মাটিতে প্রোথিত হতে চলেছে।


বামপন্থীদের অবস্থান


ন্যায়সঙ্গত ছাত্র আন্দোলনে বরাবরই বামপন্থীদের এক সদর্থক ভূমিকা ছিল। ব্যক্তি, গোষ্ঠী, আত্মীয়-পরিজন বা দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধে উঠে বৃহদের স্বার্থে ভাবনা ও কাজ করার অনুপ্রেরণাই ছিল এই ভূমিকার অন্তর্বস্তু। কিন্তু বামেদের এই আদর্শচ্যুতির চরম প্রকাশ ঘটতে শুরু করে আশির দশক থেকে যখন সংকীর্ণ গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা প্রকট হয়ে দেখা দিতে আরম্ভ করে। এর প্রভাব পরে সর্বত্র। এই বিচ্যুতির নগ্ন ও বিভৎস রূপে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান ও বামেদের পিছু হঠার যাত্রা প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার মধ্যে। আমাদের এওঞ্চলেও আশির দশকের বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে, এমনকি ছিয়াশির ভাষা আন্দোলনেও বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের সংকীর্ণতার নজির রয়েছে। এই বিপরীত যাত্রা কোন আকস্মিক ঘটনা নয়। এর ঐতিহাসিক ও আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করা এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য না হলেও কিছু প্রাসঙ্গিক কথা এখানে উল্লেখ করা জরুরি। পশ্চিমবঙ্গের টালমাটাল সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে যে বাঙালি-মার্কসবাদ বা বাঙালি-বামপন্থার জন্ম হয় তা একদিকে পতোনোন্মুখ জমিদারি ব্যবস্থা, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে ব্রিটিশ ত্রাতার প্রতি আনুগত্য ও ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে আলোকপ্রাপ্ত ভদ্দরলোকদের মধ্যে একদিকে উপনিবেশিক মনস্তত্ব ও অন্যদিকে বিশ্ব-পুঁজিবাদের ছত্রছায়ায় বিকশিত নতুন শ্রেণিশক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ও ইউরোপীয় রেনেসাঁ প্রভাবিত যুক্তিবাদের সাথে মার্কসবাদ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। মতাদর্শ সবসময়ই ভ্রমাত্মক। সাম্যবাদী মতাদর্শের বহিরঙ্গে লুকিয়ে থাকতে পারে জাতি-ধর্ম-বর্ণগত বৈষম্য ও ঘৃণার মানসিকতা। পশ্চিমবাংলার বাঙালি সাম্যবাদের আড়ালে এই ঘৃণার মানসিকতা ও যুক্তিবাদী অবস্থান এই দুয়ের সংমিশ্রণ বরাবরই বজায় ছিল। তাই 'মার্কসবাদ একটি বিজ্ঞান' – এই যান্ত্রিক ঘোষণার আড়ালে স্তালিনীয় রাশিয়ার অন্ধ অনুগামী হওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রশ্ন দেখা দেয়নি। কারণ এই বিজ্ঞান চর্চায় দলীয় নেতারাই একমাত্র বিজ্ঞান শিক্ষক, মেহনতি জনগণ শুধুমাত্র এই শিক্ষকদের অন্ধ অনুগামী। জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে বৌদ্ধিক চর্চার দ্বান্দ্বিক সংঘাতের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞান চর্চা ও সচতেনতা বিকশিত হওয়ার একমাত্র পথকে এভাবেই পরিহার করা হয়। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যেভাবে বৈজ্ঞানিক স্কিল ডেভেলাপম্যান্ট করা হয় বামেদের অনুসারিত পথ এর সাথে মিলে যায়। প্রাণশক্তি, সৃষ্টিশীলতা ও গণ-সচেতনতা বৃদ্ধির প্রশ্ন যেখানে উপেক্ষিত সেখানে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা অনেক বেশি অগ্রণী ও কার্যকরী ভূমিকায় অবতীর্ণ থাকায় বামেদের অস্তিত্ত্ব বিপন্ন হয়ে উঠে।


মানব প্রজাতির স্বাভাবিক প্রবণতা


প্রতিটি প্রজাতির এক একটি স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে। অসুস্থ বিপদাপন্ন পথচারীকে পাশ কাটিয়ে কোন দামী গাড়ির আরোহী দ্রুতগতিতে চলে যেতে পারেন এবং সেটাই আজকের জীবন বাস্তবতার প্রধান দিক। কিন্তু এই প্রধান দিকটি মানব প্রজাতির স্বাভাবিক প্রবণতা হতে পারে না। ভবিষ্যতের মধ্যে বেঁচে থাকার ইচ্ছার মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানব প্রজাতির বেঁচে থাকার রহস্য। এই মানব সমাজ হিসেবে বেঁচে থাকার রহস্যকে আড়াল করে রাখে সম্পত্তি সম্পর্ক। এই সম্পত্তি সম্পর্কে সে দেখতে পায় তার সন্তানকে, তার পরিবার-পরিজনকে, তার গোষ্ঠী-সম্প্রদায় ইত্যাদিকে। সম্পত্তি মালিকানা তাকে মানব প্রজাতির সদস্য হিসেবে ভাবতে অপারগ করে তুলে। সেজন্যই মার্কস বলে ছিলেন যে একমাত্র সর্বহারা শ্রমিকশ্রেণিই সবার হয়ে কথা বলতে পারে, কারণ তার হারাবার কিছু নেই। কিন্তু সবার হয়ে কথা বলার প্রশ্নটি সচেতন হয়ে উঠার জটিল প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত, সেটা বামপন্থী শিক্ষকদের ট্রেনিং ক্যাম্পে নির্ধারিত হওয়ার বিষয় নয়। সেটা বাস্তব অন্যায় ও শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামের এক প্রক্রিয়া যে বাস্তবতায় মুনাফা, আরও মুনাফা ও মুষ্ঠিমেয়র হাতে সম্পদের কেন্দ্রীভবন পৃথিবীকে করে তুলছে মানুষের বাসের অনুপযোগী। প্রতিনিয়ত মনুষ্য সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রলয়, যুদ্ধ, হানাহানি, ধ্বংসের হাত থেকে কি মানব সমাজ বাঁচতে চাইবে না? নিশ্চয়ই চাইবে, কারণ এটাই মানব প্রজাতির সাধারণ প্রবৃত্তি এবং এখানেই আশার আলো এখনও জ্বলছে। মানব প্রজাতির বেঁচে থাকার এই রহস্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে বামেদের পুনরুত্থানের রহস্য। কারণ অসাম্য, লুণ্ঠন ও সম্পদের কেন্দ্রীভবনের বর্তমান ব্যবস্থার নীতিতে তথাকথিত উন্নয়ন মানেই যে ধ্বংস, বিপর্যয়, যুদ্ধ ও হানাহানি তা আর বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। গুয়াহাটি- উত্তরাখন্ড-কাশ্মীরের বন্যা, গাজা-সিরিয়া-ইউক্রেনে মানব সংকট, চারিদিকে যুদ্ধ ও ফ্যাসিবাদী উত্থান কিংবা ইংলেণ্ড থেকে স্কটল্যাণ্ডের আলাদা হয়ে যাওয়ার বাসনা সবকিছুই বর্তমান ব্যবস্থায় মানব সমাজের সংকটকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সুতরাং বামপন্থী সাম্যবাদের ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্যেই মানব প্রজাতির মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে বেঁচে থাকার একমাত্র গ্যারান্টি। কিন্তু এটা তখনই সম্ভব যখন বামপন্থীরা অতীত থেকে শিক্ষা নেবে, বাস্তব পরিস্থিতির বাস্তব ব্যাখ্যা করার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে আয়ত্ত করবে, কথা ও কাজের মধ্যে ব্যবধান ঘোচাতে সচেষ্ট হবে এবং সমস্ত দলীয় ও গোষ্ঠী সংকীর্ণতার উর্ধে উঠে মানব সমাজের অগ্রগতি ও মেহনতি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির মানদণ্ডে সমস্ত ঘটনাকে বিচার করবে।


জীবনমুখী পরিবর্তন


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনকে পরিস্থিতির আরেকটি বাঁক নেওয়ার সূচক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। নিষ্ক্রিয় ক্যারিয়ার সর্বস্ব ছাত্র সমাজ বোধহয় আড়মোড়া ভাঙছে, এই মোচড় আসলে সমাজের সর্বত্র বিরাজমান এক অস্থিরতার পরোক্ষ প্রভাব। অস্থিরতা পরিস্থিতির আরেকটি পরিবর্তনের লক্ষণ মাত্র। পরিস্থিতি ভালর দিক মোড় নেওয়ার জন্য যারা উদগ্রীব – তাদেরকে সক্রিয় হতেই হবে। অশুভের দাপটে শুভর বিজয় কামনা সাধারণ বুদ্ধিতে ইউটোপিয়ানই মনে হয়, কারণ এই কামনার বাস্তবায়ন জ্ঞান ও কর্মের এক সামগ্রিক জীবনমুখী পরিবর্তনের সাথে যুক্ত।     


লতিফ সিদ্দিকীর ৪৬ অনিয়ম

লতিফ সিদ্দিকীর ৪৬ অনিয়ম 

Artile
কোনো নিয়মই মানেন না মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী থাকার সময় সব ধরনের আইনকানুন, নিয়মনীতি ভঙ্গ করে তিনি সরকারি সম্পত্তি হস্তান্তর করেছেন। আইন বা নীতিমালা মানার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য ছিল 'নীতিমালা বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ কর।
রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি বলেছে, পাঁচ বছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৪৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে হস্তান্তর বা বিক্রি করেছে। এ সময় দুটি ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠান বিনা দরপত্রে, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়, বিনা মূল্যে বা কম মূল্যে বেসরকারীকরণ বা বিক্রি করা হয়। সেই সময়ের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ধর্মসহ বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য তিনি সব মহলে সমালোচিত হচ্ছেন। এর আগেও তিনি সমালোচিত ছিলেন নানা ধরনের অনিয়মের জন্য। এ কারণে গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁর মন্ত্রণালয়ের ওপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কমিটি গঠন করা হয়। মূলত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি বেসরকারীকরণের ক্ষেত্রে আইন ও বিধি মানা হয়েছে কি না এবং চুক্তির শর্ত মেনে সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর হয়েছে কি না, তা যাচাই করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক পবন চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি গত ৩১ আগস্ট বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নানা অনিয়মের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
লতিফ সিদ্দিকীকে সরানোর গুঞ্জনপ্রতিবেদনে কমিটি সুপারিশ করে বলেছে, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ও বিনা মূল্যে বা কম মূল্যে যেসব সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলো আবার রাষ্ট্রের অনুকূলে ফেরত আনার বিষয়টি যাচাই করে দেখতে হবে। এ ছাড়া কমিটি 'রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি জনগণের সম্পত্তি' মন্তব্য করে জনস্বার্থ ক্ষুণ্নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদনটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফণীভূষণ চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, 'প্রতিবেদনটি মাত্রই আমরা হাতে পেয়েছি। প্রতিবেদনে যে সুপারিশগুলো করা হয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে আমরা কাজ শুরু করেছি। যারাই সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম করেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার দাবি এরশাদেরপ্রতিবেদনে বলা হয়, মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে (২০০৯-১৩) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিটিএমসি, তাঁত বোর্ড, বিলুপ্ত জুট করপোরেশন (বিজেসি) এবং বিজেএমসির মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ ও হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলের ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়। ৩০টি প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ হস্তান্তর করা হয়েছে, ১৭টি হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন। এর মধ্যে বিনা দরপত্রে দেওয়া হয়েছে ১২টি। এভাবে সম্পত্তি হস্তান্তরের কারণে জনস্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে। তা ছাড়া, এ ক্ষেত্রে বেসরকারীকরণ কমিশন আইন ও নীতিমালাও মানা হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪৬টি প্রতিষ্ঠান বা ভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে করা অনিয়মগুলো হচ্ছে: যথাযথ মূল্য নির্ধারণ না করা, বিনা দরপত্রে হস্তান্তর, কেবল মন্ত্রীর সিদ্ধান্তে বিনা মূল্যে স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া, বিক্রির আগে অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন না নেওয়া, বিক্রির শর্ত না মানা, আইনগত জটিলতা নিরসন না করেই হস্তান্তর ইত্যাদি।
লতিফ সিদ্দিকীর সমালোচনায় বিএনপিসাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, 'প্রতিবেদনে যা তুলে ধরা হয়েছে এবং নোটশিটে তিনি যা লিখেছেন, তাতে পরিষ্কারই বোঝা যায় যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন মন্ত্রী কাউকে পরোয়া করেননি। তিনি ইচ্ছেমতো ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সুদ মওকুফ: চট্টগ্রামের ঈগল স্টার টেক্সটাইলের কাছে সরকারের পাওনা বিপুল অঙ্কের সুদ একক সিদ্ধান্তে মওকুফ করেন মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। সরকারের পাওনা ছয় কোটি ৬২ লাখ টাকা। এই মিলের দায়দেনা মওকুফের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হলে লিখিতভাবে জানানো হয়, 'মওকুফের ক্ষমতা এককভাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নেই। এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক মন্ত্রিসভার অনুমতি লাগবে।' কিন্তু নথিটি মন্ত্রীর কাছে গেলে লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে সিদ্ধান্ত দেন, 'এই মিলের দায়দেনা সরকারের মালিকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি, তাই মূল অর্থ ও সুদ মাফ করা যায়।' কিন্তু এর পরেও ওই মালিক আসল টাকা পরিশোধ না করে এখনো মিলটি ভোগদখল করছেন।
মুখফোঁড় নেতারা এমন কথা বলতে পারেন: সাজেদাএকক সিদ্ধান্তে বিক্রি: কুষ্টিয়ার মোহিনী মিলস লিমিটেড লোকসানের কারণে ১৯৮২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১৯৮৪ সালে মিলটি বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে নজরুল ইসলামে নামের এক ব্যক্তি সেটি কিনে নিয়ে নামকরণ করেন শাহ মখদুম টেক্সটাইল মিলস। তখন মিলটির বিক্রয়মূল্য ছিল ১১ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ছিল প্রায় ১৩ কোটি টাকা। নজরুল ইসলাম টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করতে না পারায় দরপত্র বাতিল করা হলে তিনি আদালতে মামলা করেন। ২০০৯ সালে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি ফয়সালার নির্দেশ দিলে মামলা প্রত্যাহারের শর্তে ওই প্রতিষ্ঠানকে কিস্তি, দায়দেনাসহ ৪৯ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য বলা হয়। পরে শাহ মখদুম টেক্সটাইল মিলের পক্ষে দ্য পিপলস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন নামে একটি মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান টাকা পরিশোধে রাজি হয়। কিন্তু মামলা প্রত্যাহার বা টাকা পরিশোধ না করায় মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী মিলটি ফেরত না নিয়ে একক সিদ্ধান্তে আবদুল মতিন নামের আরেক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির নির্দেশ দেন। শেষ পর্যন্ত তিনিও কোনো টাকা পরিশোধ করেননি। এরপর এনারগোটেক নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক আরিফুর রহমানের সঙ্গে মিলটি বিক্রির জন্য চুক্তি করা হয়। তিনিও সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করেননি। এরপর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বারবার মিলটি বেসরকারি কমিশনের কাছে ন্যস্ত করার কথা বললেও মন্ত্রী নিজেই মিলটি বিক্রির কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন।
এখনো তাঁর মন্ত্রী থাকা আশ্চর্যের বিষয়: বি চৌধুরীকমিটি বলেছে, বিক্রির পুরো প্রক্রিয়াটিই ছিল অবৈধ। এ ছাড়া মিলটি প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।
অবৈধভাবে বিক্রয় ও হস্তান্তর: গাজীপুরের কালীগঞ্জের মসলিন কটন মিলটি বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনকে (বিজিএমসি) ন্যস্ত করা হয়। এর পরও ২০১১ সালে এটি রিফাদ নামে একটি পোশাক কারখানার কাছে ১৩৫ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে মন্তব্য করেছে তদন্ত কমিটি। কমিটির মতে, মিলটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা ছাড়াও এর দায়দেনা ও মূল্য যথাযথভাবে নির্ধারণ করা হয়নি।
সমঝোতা করে সম্পত্তি বিক্রি: বিলুপ্ত বিজেসির সম্পত্তি পাট বেলিং কেন্দ্র খুলনার দৌলতপুরে অবস্থিত। এই কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০০৯ সালে সম্পত্তিটির দাম ধরা হয় ১৪ কোটি ৪২ হাজার ২১৩ টাকা। কিন্তু বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে উত্তরা জুট ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সুজিত কুমার ভট্টাচার্য সর্বোচ্চ দাম দেন পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু এই দর প্রস্তাব নাকচ করা হলে সুজিত কুমার সম্পত্তিটি পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকায় কেনার জন্য মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী তা অনুমোদন দেন।
কমিটির মতে, মন্ত্রীর নির্দেশমতো সবকিছু হয়েছে। তা ছাড়া, সমঝোতার মাধ্যমে দাম ঠিক করে জমি বিক্রি করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিটি।
যুক্তরাষ্ট্রে লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যে ক্ষোভ, প্রতিবাদপ্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ছাড়া নেত্রকোনার সাবেক জুট বোর্ড ও বগুড়ার সুরজমহল আগরওয়ালা মিলটি দরপত্র ছাড়াই বিক্রি করা হয়েছে। আর কুড়িগ্রামের ঘেঊরচাঁদ মাঙ্গিলাল জমিটি নিষ্কণ্টক না করে দরপত্র আহ্বান ও বিক্রি করেছে মন্ত্রণালয়। আবার তাঁত বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন নোয়াখালীর টেক্সটাইল ফ্যাসিলিটিজ সেন্টারের জমি দরপত্র মূল্য অনুযায়ী না নিয়ে অনেক কম মূল্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
কমিটি আরও বলেছে, শ্রমিক ও কর্মচারীদের কাছে হস্তান্তর করা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের ফ্যারিলিন সিল্ক মিলস নীতিমালা ভেঙে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে অবস্থিত নিউ লক্ষ্মী কটন মিলটিও চুক্তি ও নীতিমালাবহির্ভূতভাবে তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করলে চুক্তি বাতিল ও মিল অধিগ্রহণের নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি।
লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগ দাবি বিএনপিরএ ছাড়া টঙ্গীর নিশাত জুট মিলের কিছু জমি মতিঝিলে মধুমতি সিনেমা হলের পাশে ছিল। সেই জমি ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতির হাসপাতাল বানানোর জন্য ৯৯ বছরের জন্য এক লাখ এক হাজার ১০১ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় প্লটটি বিক্রি বা হস্তান্তর না করার শর্ত দিয়েছিল। তার পরও ইজারা দেওয়া হয় এবং জমির মূল্যও নির্ধারণ হয়নি। এর কারণ হিসেবে মন্ত্রী লিখেছেন, '....ব্যক্তিগত জীবনে আমি চট্টলা কন্যার পাণি গ্রহণ করেছি।....মানবতার সেবায় তাদের সহযোগিতা করার নৈতিক দায়িত্ববোধ করছি।'
কমিটির মতে, কুমিল্লার দৌলতপুরের চিশতী টেক্সটাইল মিলস বিনা দরপত্রে ও কম মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের ন্যাশনাল কটন মিল বিক্রির আগে অর্থনৈতিক মন্ত্রিসভা কমিটির মতামত নেওয়া হয়নি, রাজধানীর হাটখোলার ঢাকেশ্বরী কটন মিলটি বিনা মূল্যে হস্তান্তর করা হয়েছে, নাসিরাবাদের ভ্যালিকা উলেন মিল বাস্তব মূল্য অপেক্ষা কম মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে, জামালপুরের আর সিম প্রেস হাউস বিক্রির ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। ফেনীর রানীর হাটের দোস্ত টেক্সটাইল হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও বেসরকারীকরণ কমিশন আইন ও নীতিমালা মানা হয়নি।

अगर हर अमेरिकी भारतीय एन अार अाइ को अाजीवन वीजा दिया जाना हो, तो लेखकों को तसलीमा नसरीन के लिये भी यही मांग करनी चाहिेए। जसटिस काटजू ने मांग कर डाली।

अगर हर अमेरिकी भारतीय एन अार अाइ को अाजीवन वीजा दिया जाना हो, तो लेखकों को तसलीमा नसरीन के लिये भी यही मांग करनी चाहिेए। 
जसटिस काटजू ने मांग कर डाली। 

LikeLike ·  · Share
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Tweeter

Blog Archive

Welcome Friends

Election 2008

MoneyControl Watch List

Google Finance Market Summary

Einstein Quote of the Day

Phone Arena

Computor

News Reel

Cricket

CNN

Google News

Al Jazeera

BBC

France 24

Market News

NASA

National Geographic

Wild Life

NBC

Sky TV