ঢাকা: 'বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি' (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি হামলা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত৷ ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত জামাত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সইদির ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে সংঘটিত হয়েছে একাধিক হিংসার ঘটনা৷ সাম্প্রতিক এই হিংসার ঘটনাকে 'গণহত্যা' আখ্যা দিয়ে বিএনপি সভানেত্রী খালেদা জিয়া তার দায় চাপালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর৷
সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলের এক সমাবেশে হঠাত্ই পেট্রোল বোমা ফাটে৷ চলে ভাঙচুর৷ এর পরই পুলিশি তল্লাশি চলে বিএনপির কার্যালয়ে৷ গ্রেপ্তার হন বিএনপির শতাধিক নেতা৷ পুলিশের দাবি, কার্যালয় থেকে মিলেছে বেশ কিছু পেট্রোল বোমা৷ সোমবারের পুলিশি হামলার পর বুধবার দলীয় সভানেত্রী খালেদা জিয়া তছনছ হওয়া ওই কার্যালয় ঘুরে দেখেন৷ তার পর নেতা কর্মীদের এক সমাবেশে বিরোধী নেত্রী হুঁশিয়ারি দেন, এই গণহত্যার জন্য বর্তমান সরকারের সব নেতানেত্রীকেই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে৷
খালেদা জিয়ার দাবি, 'পুলিশ নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৭০ জনকে হত্যা করেছে৷ এর জন্য দায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি কোনওভাবেই এ দায় এড়াতে পারেন না৷ এই গণহত্যার জন্য আবারও বিচার হবে, ট্রাইব্যুনালও হবে৷'
বুধবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছান খালেদা জিয়া৷ দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী স্লোগান ও করতালিতে তাঁকে স্বাগত জানান৷ বিএনপি সভানেত্রী ঘুরে দেখেন ভাঙচুর হওয়া কার্যালয়৷ এর পর দলীয় সম্মেলনে তিনি অভিযোগ জানান, পুলিশ তল্লাশির নামে তাঁদের আসবাবপত্র তছনছ করেছে, নষ্ট করেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র৷ লুঠ হয়েছে কম্পিউটার ও নগদ টাকা-সহ মূল্যবান জিনিসপত্র৷
এ দিন শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমালোচনা করে খালেদা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, 'এই যে মঞ্চ বানাচ্ছেন আর পাহারা দিচ্ছেন, এ সব বন্ধ করুন৷ না হলে যখন সত্যিই জনগণের মঞ্চ তৈরি হবে, তখন আর কেউ আপনাদের বাঁচাতে পারবে না৷' সাম্প্রতিক অশান্ত পরিবেশে সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যায় না৷ সরকার এক দিকে আমাদের মিটিং-মিছিলে গুলি করছে, অন্য দিকে বিধর্মী, নাস্তিকদের লালন করছে৷ নিজেদের অপকর্ম এবং দুর্নীতি চাপা দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর জন্যই তারা এ ধরনের কাজ করছে৷'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকেও এ দিন অভিযোগের আঙুল তোলেন বিরোধী নেত্রী৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজাকার বলে দাবি করে তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামি লীগে বহু রাজাকার রয়েছে, তাঁদের আগে ধরতে হবে৷ যুদ্ধোপরাধের বিচারের সমালোচনা করে তিনি বলেন,'আমরাও যুদ্ধোপরাধের বিচার চাই, তবে সে বিচার হবে স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিক মানের৷ আমরা ক্ষমতায় এলে সেই বিচার করব৷'
সংখ্যালঘুদের ওপর সরকারি হামলার অভিযোগ তুলে তিনি জানান, তাঁর দল সংখ্যালঘুদের পাশে রয়েছে৷ বিএনপি কার্যালয় থেকে গ্রেন্তার হওয়া নেতা কর্মীদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে মুক্তি দেওয়া না হলে ১৮ ও ১৯ তারিখ দেশজুড়ে হরতালের আহ্বানও জানান তিনি৷
অন্য দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার দাবি করেন, বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান নিয়ে সরকারের তরফে দেওয়া প্রেসনোট সর্বৈব মিথ্যা৷ পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিএনপির কার্যালয় থেকে বেশ কিছু পেট্রোল বোমা মিলেছে৷ সেই দাবিকে নস্যাত্ করে তিনি বলেন,' এ ধরনের হামলা অতীতে কখনও ঘটেনি৷ পুলিশ গুলি করতে করতে কার্যালয়ে প্রবেশ করে৷' পুলিশই ওই কার্যালয়ে বোমা রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷ জানান, সরকার সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে এখন বিভেদ সৃষ্টির রাজনীতি শুরু করেছে৷
সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলের এক সমাবেশে হঠাত্ই পেট্রোল বোমা ফাটে৷ চলে ভাঙচুর৷ এর পরই পুলিশি তল্লাশি চলে বিএনপির কার্যালয়ে৷ গ্রেপ্তার হন বিএনপির শতাধিক নেতা৷ পুলিশের দাবি, কার্যালয় থেকে মিলেছে বেশ কিছু পেট্রোল বোমা৷ সোমবারের পুলিশি হামলার পর বুধবার দলীয় সভানেত্রী খালেদা জিয়া তছনছ হওয়া ওই কার্যালয় ঘুরে দেখেন৷ তার পর নেতা কর্মীদের এক সমাবেশে বিরোধী নেত্রী হুঁশিয়ারি দেন, এই গণহত্যার জন্য বর্তমান সরকারের সব নেতানেত্রীকেই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে৷
খালেদা জিয়ার দাবি, 'পুলিশ নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৭০ জনকে হত্যা করেছে৷ এর জন্য দায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি কোনওভাবেই এ দায় এড়াতে পারেন না৷ এই গণহত্যার জন্য আবারও বিচার হবে, ট্রাইব্যুনালও হবে৷'
বুধবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছান খালেদা জিয়া৷ দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী স্লোগান ও করতালিতে তাঁকে স্বাগত জানান৷ বিএনপি সভানেত্রী ঘুরে দেখেন ভাঙচুর হওয়া কার্যালয়৷ এর পর দলীয় সম্মেলনে তিনি অভিযোগ জানান, পুলিশ তল্লাশির নামে তাঁদের আসবাবপত্র তছনছ করেছে, নষ্ট করেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র৷ লুঠ হয়েছে কম্পিউটার ও নগদ টাকা-সহ মূল্যবান জিনিসপত্র৷
এ দিন শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমালোচনা করে খালেদা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, 'এই যে মঞ্চ বানাচ্ছেন আর পাহারা দিচ্ছেন, এ সব বন্ধ করুন৷ না হলে যখন সত্যিই জনগণের মঞ্চ তৈরি হবে, তখন আর কেউ আপনাদের বাঁচাতে পারবে না৷' সাম্প্রতিক অশান্ত পরিবেশে সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যায় না৷ সরকার এক দিকে আমাদের মিটিং-মিছিলে গুলি করছে, অন্য দিকে বিধর্মী, নাস্তিকদের লালন করছে৷ নিজেদের অপকর্ম এবং দুর্নীতি চাপা দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর জন্যই তারা এ ধরনের কাজ করছে৷'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকেও এ দিন অভিযোগের আঙুল তোলেন বিরোধী নেত্রী৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজাকার বলে দাবি করে তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামি লীগে বহু রাজাকার রয়েছে, তাঁদের আগে ধরতে হবে৷ যুদ্ধোপরাধের বিচারের সমালোচনা করে তিনি বলেন,'আমরাও যুদ্ধোপরাধের বিচার চাই, তবে সে বিচার হবে স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিক মানের৷ আমরা ক্ষমতায় এলে সেই বিচার করব৷'
সংখ্যালঘুদের ওপর সরকারি হামলার অভিযোগ তুলে তিনি জানান, তাঁর দল সংখ্যালঘুদের পাশে রয়েছে৷ বিএনপি কার্যালয় থেকে গ্রেন্তার হওয়া নেতা কর্মীদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে মুক্তি দেওয়া না হলে ১৮ ও ১৯ তারিখ দেশজুড়ে হরতালের আহ্বানও জানান তিনি৷
অন্য দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার দাবি করেন, বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান নিয়ে সরকারের তরফে দেওয়া প্রেসনোট সর্বৈব মিথ্যা৷ পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিএনপির কার্যালয় থেকে বেশ কিছু পেট্রোল বোমা মিলেছে৷ সেই দাবিকে নস্যাত্ করে তিনি বলেন,' এ ধরনের হামলা অতীতে কখনও ঘটেনি৷ পুলিশ গুলি করতে করতে কার্যালয়ে প্রবেশ করে৷' পুলিশই ওই কার্যালয়ে বোমা রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷ জানান, সরকার সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে এখন বিভেদ সৃষ্টির রাজনীতি শুরু করেছে৷
No comments:
Post a Comment