Total Pageviews

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Monday, July 29, 2013

টাকা-ডলারের উত্থানপতন কি খালি বিদেশি বিনিয়োগের খামখেয়ালিপনা?

টাকা-ডলারের উত্থানপতন কি খালি বিদেশি বিনিয়োগের খামখেয়ালিপনা?


ঘাটতি বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা, যথা ডলার, ইউরো, পাউন্ড বা ইয়েন, এদের টাকার তুলনায় বিনিময় মূল্য স্থির হয় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে৷ বাজারের নিয়ম অনুযায়ী এখানেও দাম ঠিক হয় চাহিদা ও জোগানের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে৷ এটা আমরা সবাই বুঝি যে জোগান যদি বেশি হয় তবে দাম কমে --- অতএব যদি মার্টিন ডলারের জোগান মুদ্রার বাজারে বেশি করে আনে তবে স্বাভাবিক নিয়মে ডলারের দাম টাকার তুলনায় কমা উচিত৷ উচিত বলছি কারণ এর ব্যতিক্রম হতে পারে যা কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়৷ এ ব্যাপারে পরে আসছি৷ ডলারের জোগান প্রধানত আসে দু'টি সূত্রে --- বাইরে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে অথবা বিদেশিদের ভারতে বিনিয়োগ থেকে৷ এখানে মনে রাখা দরকার কোনও জিনিস এক তরফা আসে না --- যারা আমদানি করেন তাঁরা দেশের বাইরে ডলার পাঠিয়ে দেন আবার বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনেক সময় ডলার তুলে নেন দেশের বাজার থেকে৷ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পণ্য এবং পরিষেবা থেকে রন্তানি বা আমদানি বাবদ যা নিট ফল হয় তাকে চলতি খাতে ব্যালেন্স বলা হয়৷ গত তিন-চার বছর ধরে আমাদের রন্তানির হাল খারাপ হয়েছে৷ কিন্ত্ত আমদানি কমানো যায়নি৷ এর কারণ হল ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রন্তানির ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ যায় কিন্ত্ত ২০০৮-এর পর থেকে পৃথিবীর এই অংশে নানা প্রকার আর্থিক সংকটে আয় বৃদ্ধি দারুণ মার খেয়েছে৷ অতএব অনেক সময়ে আমাদের জিনিস আগের থেকে ডলার মূল্যে কমে যাওয়া সত্ত্বেও বিদেশে খরিদ্দার পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে৷ অন্য দিকে আমাদের আমদানি এমন সব জিনিসে হয় যা কমাতে গেলে দেশে রাজনৈতিক সংকট অবশ্যম্ভাবী --- যেমন পেট্রোলিয়ামজাত জিনিস, সার, ভোজ্য তেল, ডাল, অলংকার শিল্পের জন্য পাথর ইত্যাদি৷ তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সোনার চাহিদা গত এক -দেড় বছরে৷

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাসে যেখানে চলতি খাতে ঘাটতি ছিল ১৫৮০ কোটি মার্কিন ডলার, সেটা ২০১২ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেড়ে হল ২০৯৮ কোটি, এবং পরের তিন মাসে আরও বেড়ে দাঁড়াল ৩১৮৬ কোটি৷

২০১৩-এর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে অবস্থা কিছু পরিবর্তন হয়ে এটা দাঁড়িয়েছে ১৮০৮ কোটি ডলারে৷ সোজা কথায় আমরা বাইরে থেকে কিনছি বেশি যা বিক্রি করছি তার থেকে৷ তো এই ঘাটতি মেটাচ্ছে কে? বিনা পয়সায় তো আর কেউ জিনিস দেয় না৷ এখানেও আসে বৈদেশিক বাণিজ্যের দ্বিতীয় খাত, যাকে বলা হয় মূলধনী খাত৷ এই খাতে থাকে সকল প্রকার ধার ও বিনিয়োগের গল্প৷ ভারতে টাকাকে যদি ডলারের সঙ্গে সঙ্গত রাখতে হয় তবে আজকের দিনে বৈদেশিক বিনিয়োগ, যার সুবাদে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশে টাকা ঢালছে, তাকে আকর্ষণ করতেই হবে কারণ অদূর ভবিষ্যতে আমরা আমদানি কমাতে পারব না৷

বিদেশের বিনিয়োগকারীরা কেন ও কী ভাবে দেশে আসছেন তা-ও এক আকর্ষক কাহিনি৷ বিদেশি বিনিয়োগের দু'রকম ধরন আছে --- এক ধরন হল প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ যার উদ্দেশ্য দেশে দীর্ঘকালীন উত্পাদন বা পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ৷ আর এক প্রকার বিনিয়োগ যা বিদেশিরা করেন তাকে বলা হয় পোর্টফোলিও বিনিয়োগ৷ ভারতে এই পোর্টফোলিও বিনিয়োগ প্রধানত করে বিদেশের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যেমন পেনশন ফান্ড, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ব্যাঙ্ক ইত্যাদিরা৷ এদের হাতে বিনিয়োগের জন্যে অনেক টাকা থাকে --- যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যেক উপার্জনকারীর আয় থেকে পেনশনের জন্যে টাকা কেটে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং তা কোনও একটি সরকার স্বীকৃত পেনশন ফান্ডে রাখতেই হবে৷ সহজেই অনুমেয় এদের ফান্ডের আয়তন কত হতে পারে৷ বর্তমানে ভারত তথা অন্যান্য উন্নতিশীল বিশ্বের উপরে এদের তীক্ষ্ণ নজর যেহেতু এই দেশগুলির উন্নতির হার খুব বেশি এবং তার ফলে বিনিয়োগের আয়ও তুলনামূলক বেশি৷ তবে যেহেতু এই দেশগুলিতে নানা রকম আর্থিক বা রাজনৈতিক ঝুঁকি থাকে, এরা কিছু বিশেষজ্ঞ কোম্পানি, যেমন মুডিজ বা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর, এদের থেকে পরামর্শ নিয়ে বিনিয়োগ করে৷ এই কোম্পানিগুলির বিনিয়োগ প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ থেকে আলাদা এই কারণে যে এরা স্বল্পকালীন ভিত্তিতে শেয়ার বা বন্ডে বিনিয়োগ করে এবং এদের মোট অংশীদারি কোনও ভারতীয় কোম্পানিতে কখনই ১০ শতাংশের অধিক হতে পারবে না৷ যেহেতু চলতি খাতে আমাদের ঘাটতি প্রচুর, সেই হেতু এই খাতে ডলার দেশে আসার বদলে বেরিয়ে যাচ্ছে অনেক৷ অতএব সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল যেহেতু তারা ডলারের জোগান দিচ্ছে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে ২০০৪-০৫ -এ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ৬০৫ কোটি ডলার এবং পোর্টফোলিও বিনিয়োগ এসেছিল ৯৩১.৫ কোটি ডলার৷
২০০৮-০৯-এ এল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহঋণ সংকট৷ সে বছরে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ এল ৪১৮৭ কোটি ডলার কিন্ত্ত পোর্টফোলিও বিনিয়োগে নিট বেরিয়ে গেল ১৩৮৫ কোটি ডলার৷ কেন ? এর উত্তর মার্কিন সরকারের ও জনগণের চাপে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের স্বল্পকালীন নিয়োজিত বিনিয়োগ ভারত থেকে তুলে দেশে নিয়ে গেল৷ ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ ছিল ভারতের নীতি -নির্ধারকদের স্বপ্নের সময় --- প্রাতিষ্ঠানিক বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই দুই বারে ভারতে শেয়ার বাজারে ঢালল যথাক্রমে ২৯০৪ .৮ কোটি এবং ২৯৪২.২ কোটি ডলার৷ সঙ্গে সমান তালে এল প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ৷ ২০১১-১২ সালে হঠাত্ ঘনালো কালো মেঘ --- প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হঠাত্ বিনিয়োগ কমিয়ে আনল সাকুল্যে ১৬৮১.৩ কোটি ডলারে --- কারণ আবার সংকট, এ বার ইউরোপের গ্রিসে৷ ২০১২-১৩ -তে এটা আরও কমে হল ১১৯২ কোটি ডলার (আর ২০১৩-এর জুন মাসে এরা দেশ থেকে নিট বের করে নিল ৭৫৩ কোটি ডলার আর জুলাই মাসে ২৮৭ কোটি ডলার৷

আগেই দেখিয়েছি এর সঙ্গে সমান তালে ডলার বেরিয়ে যাচ্ছে চলতি খাতের আমদানি -রন্তানির ঘাটতিতে৷ পরিস্থিতি হয়ে উঠল ঘোরালো --- ডলারের চাহিদা তুঙ্গে অথচ জোগানে পড়ল ঘাটতি৷ অবশ্যম্ভাবী ফল হল টাকার দামের পতন৷ যেখানে ১ এপ্রিল ২০১১-তে ১ ডলারে টাকার গড় দাম ছিল ৪৪ .৪৫ টাকা , তা ৬ এপ্রিল ২০১২-তে হল ৫১.২৮ টাকা, ১২ এপ্রিল ২০১৩-তে বেড়ে হল ৫৪.৪৪ টাকা , আর ৫ জুলাই ২০১৩-তে ৬০.৩৪ টাকা৷ আর এর ফলেই খেপে খেপে বাড়তে লাগল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, যন্ত্রাংশের দাম, ল্যাবরেটরিতে আমদানি করা রাসায়নিক পদার্থের দাম, জীবনদায়ী ওষুধের দাম৷ তার সঙ্গে সরকারের চেতাবনি যে রান্নার গ্যাস আস্তে আস্তে বাজার মূল্যে যাবে আর যেহেতু আমদানি করা কয়লার দাম বাড়ছে, বিদ্যুতের মাশুল বাড়বে৷ শুধু তাই নয়, আমদানি করা ইউরিয়া সার স্বাভাবিক ভাবেই আরও মহার্ঘ হবে৷

বিদেশি বিনিয়োগই সমাধান ?আর এই সময়েই এল সরকারি ঘোষণা যে বিদেশি বিনিয়োগের শর্ত আরও শিথিল করা হবে টেলিকম , প্রতিরক্ষা ও রিটেলের ক্ষেত্রে৷ ভবিষ্যতে বিমা ও পেনশন ক্ষেত্রেও বিনিয়োগের সুবিধা বাড়বে৷ অর্থাত্‍ টাকার মূল্য যে ঊর্ধ্বগামী তার একমাত্র দাওয়াই হচ্ছে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ৷ এ কথা ঠিক যে কিছু ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ সাধারণ মানুষের অসম্ভব কাজে এসেছে যেমন মোবাইল ফোন৷ এমনকী গাড়ি নির্মাণ শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক চাকুরি সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন অনুসারী শিল্পকে গতি দিয়েছে৷ অন্য দিকে রিটেল, বিমা ও পেনশন ক্ষেত্রে সরকার কোনও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দিয়ে মানুষকে আশ্বাস দিতে পারেনি যে বিদেশি বিনিয়োগের অবারিত দ্বার মানুষের কল্যাণ বাড়াবেই৷ আসলে আমাদের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা কেন্দ্রীয় অর্থ দফতরের চিন্তার মধ্যেই কোথাও বড়ো খামতি রয়ে গিয়েছে৷ এই স্বল্প পরিসরে সব বলা সম্ভব না তবে দু-একটা উদাহরণ দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন৷

যখন ডলারে তুলনায় টাকা শক্তিশালী হচ্ছিল সেই ২০১০-১১ সালে তখন খুশির মেজাজে এর পেছনের ইতিহাস আমাদের নীতি-নির্ধারকরা কখনই গুরুত্ব দিয়ে জনগণের সামনে আনেননি৷ হঠাত্‍ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে এত বিনিয়োগযোগ্য ডলার এল কোথা থেকে? ২০০৮ সালে গৃহঋণ বাবদ যখন মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলি 'বাজে' ঋণের ধাক্কায় মৃতপ্রায়, তাদের বাঁচাতে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এক নতুন নীতি নিয়ে এল যার নাম কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং (যা কিউ ই নামে পরিচিত )৷ এই কিউ ই-এর মানে হল সরাসরি অর্থের জোগান নয় --- যে সংস্থাগুলির গৃহঋণের বন্ড কেউ পরিশোধ করছে না, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সেই বস্ত্তগুলি কিনে নিয়ে তার জায়গায় এই প্রতিষ্ঠানগুলির নামে একটা অ্যাকাউন্ট চালু করে দিল৷ এই অ্যাকাউন্ট থেকে এই বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠানগুলি টাকা তুলে দেশে বিনিয়োগের সুযোগ পেল৷ প্রথম কিস্তিতে নভেম্বর ২০০৮ থেকে মার্চ ২০০৯ -এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এই বাবদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৩ লক্ষ কোটি টাকার সমান ডলারের জোগান দিয়েছিল৷ এর পরের কিস্তি কিউ ই-২ এর মাধ্যমে নভেম্বর ২০১০ থেকে জুন ২০১১-এর মধ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জোগান দিয়েছিল ৩০ লক্ষ কোটি টাকার সমান ডলার৷ যুক্তরাজ্যও একই প্রক্রিয়ায় তাদের দেশে মে ২০০৯ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১০-এর মধ্যে ছেড়েছিল ২৬ লক্ষ কোটি টাকার সমান পাউন্ড৷ সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই বাবদ ডলারের জোগান প্রতি মাসে এখনও হচ্ছে ৮৫ বিলিয়ন ডলার (বর্তমান মূল্যে প্রায় ৫১০০০ কোটি টাকার সমান ডলার )৷

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যদিও ওবামা প্রশাসন এটা করেছেন মার্কিন জনগণের কথা ভেবে, যে প্রতিষ্ঠানগুলি এই বিশাল অর্থ পেয়েছে তার কিছুটা এরা বিনিয়োগ করেছে উন্নতিশীল দেশগুলিতে বেশি লাভের আশায় --- তার মধ্যে অবশ্যই পড়ে ভারত, ব্রাজিল ও চিন৷ হঠাত্‍ করে এই আশাতীত বিদেশি বিনিয়োগে এই দেশগুলিতে ডলারের জোগান লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে আরম্ভ করল৷ আর সঙ্গে জোরদার হল এদের নিজেদের দেশের মুদ্রার দাম, যথা ভারতের টাকা, ব্রাজিলের রিয়াল আর চিনের ইউয়ান৷ ব্রাজিল আর চিনের আর্থিক নীতি -নির্ধারকরা এই হঠাত্‍ পরিবর্তনে প্রমাদ গুনলেন --- দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে এ যেন এক অসমঞ্জস ঘটনাপ্রবাহ৷ ব্রাজিল ২০০৯ সালের অক্টোবরে এই বিদেশি প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উপরে ২ শতাংশ হারে কর বসিয়ে দিল যে মুহূর্তে এরা টাকা নিয়ে দেশে আসবে৷ সেটা তারা ২০১১ সালের মার্চ মাসে বাড়িয়ে করল ৬ শতাংশ৷ উদ্দেশ্য একটাই --- দেশের মুদ্রা যদি হঠাত্ করে ডলারের তুলনায় দামি হয়ে যায় তবে তা ধরে রাখা মুশকিল হবে এবং এই দামের হেরফেরের সুযোগ নেবে মুদ্রার ফাটকা কারবারীরা৷ একই কারণে চিন তাদের মুদ্রাকে ডলারের তুলনায় প্রায় জোর করে বাড়তে দেয়নি৷

ভারত এর কোনওটাই করেনি৷ দলে দলে যখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিউ ই -এর টাকা নিয়ে দেশে আসতে আরম্ভ করল ভারত সরকার বিনা বাক্যব্যয়ে একে স্বাগত জানাল৷ যে মুহূর্তে ইউরোপের সংকট শুরু হল আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিউ ই বন্ধ করার ভাবনা শুরু করল, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সমারোহে ঘাটতি পড়ল --- কমল ডলারের জোগান৷ পড়ল টাকার দাম আর শুরু হল মুদ্রা নিয়ে ফাটকা কারবার, যাতে সামিল আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিও৷ এ অবস্থা সামাল দেওয়ার মতো ক্ষমতা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই মুহূর্তে নেই যেহেতু তাদের হাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সীমিত৷ অতএব শেষ ভরসা বিশ্বের অন্যান্য অর্থনীতির চাঙ্গা হওয়ার আশা৷

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Tweeter

Blog Archive

Welcome Friends

Election 2008

MoneyControl Watch List

Google Finance Market Summary

Einstein Quote of the Day

Phone Arena

Computor

News Reel

Cricket

CNN

Google News

Al Jazeera

BBC

France 24

Market News

NASA

National Geographic

Wild Life

NBC

Sky TV