Total Pageviews

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Thursday, October 31, 2013

বল্গাহীন শব্দদানব

বল্গাহীন শব্দদানব

cracker
আর একদিন পরেই আলোর উত্‍সবে সেজে উঠবে শহর৷ কিন্ত্ত দীপাবলিতে কান ফাটানো শব্দবাজির দাপট যে এ বার আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে তা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে সাধারণ মানুষের৷ বেআইনি শব্দবাজি ঠেকাতে কতটা উদ্যোগী পুলিশ ও প্রশাসন? লিখছেন অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়

শব্দবাজির প্রতিবাদে সরব হয়ে 'শহিদ' হতে হয়েছে এ রাজ্যের একাধিক নাগরিককে৷ তবু দমেনি তারা, নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট রুখতে এ শহরের নাগরিক সমাজ এখনও যথেষ্টই সরব৷ তারা যখন আরও সচেতন হতে চাইছে, তখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গেল সচেতনতার পাঠ-শেখানো প্রশাসন৷ বুধবার শহরের দু'প্রান্তে ঘটে যাওয়া দু'টি ঘটনার পর অন্তত তেমনই প্রশ্ন উঠল৷

প্রথম ঘটনায় যেখানে নিষিদ্ধ শব্দবাজির 'সোর্স' নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বহুতল আবাসন-কর্তৃপক্ষ, সেখানে দ্বিতীয় ঘটনায় বাজারচলতি বাজির আড়ালে লুকিয়ে থাকা নিষিদ্ধ বাজির স্বরূপ প্রকাশ করতে গিয়ে প্রশাসনের বাধায় ফিরে আসতে হল একদল পরিবেশবিদ তথা পরিবেশকর্মীকে৷ এই দুই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, আইন শেখানোর দায়িত্বে থাকা আইনরক্ষকরা বাজির দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে বাস্তবে কতটা তত্‍পর?

আসন্ন কালীপুজোয় শব্দবাজির দাপট রুখতে ইতিমধ্যেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে শুরু হয়েছে সচেতনতা-প্রসার কর্মসূচি৷ কিন্ত্ত মানুষের সঙ্গে সঙ্গে এ দিন প্রশাসনকে সচেতন করতে দেশপ্রিয় পার্কে বাজি-পরীক্ষা করতে আসা পরিবেশকর্মীরা আইনি গেরোয় সেই পরীক্ষা করতে পারলেন না৷ পার্কের বন্ধ গেটের বাইরে অপেক্ষমান সংগঠনগুলিকে পুলিশের তরফে বলা হল, পুরসভার উদ্যোগে মাঠে ক্রিকেট পিচ তৈরির কাজ চলায় সেখানে ঢোকা যাবে না৷ শুধু তাই নয়, বাজি পরীক্ষা করতে হলে পুরসভা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং পুলিশের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন বলেও তাদের জানানো হল৷ 

ঠিক কী ঘটেছিল দেশপ্রিয় পার্কে?
এ দিন দুপুর তিনটেয় ওই পার্কে বাজি-পরীক্ষা করতে গিয়েছিল ১০টি পরিবেশবাদী সংগঠন৷ কিন্ত্ত পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে পার্কে ঢুকতে চেয়ে থমকে দাঁড়াতে হয় সংগঠনের কর্মীদের৷ দেখা যায়, রাসবিহারী অ্যাভেনিউয়ের উপর পার্কের মূল গেট তালাবন্ধ৷ সকাল-বিকেল যে পার্কে ভ্রমণে আসেন অগুনতি মানুষ, সেই পার্কের মূল প্রবেশপথ বন্ধ দেখে কিছুটা অবাক হয়ে যান তাঁরা৷ লেক থানার বিরাট পুলিশবাহিনী আগে থেকেই 'গোপন সূত্রে' খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল এ দিন৷ পুর-কর্তৃপক্ষকে আগাম জানিয়ে গেট তালাবন্ধ থাকার সিদ্ধান্তও হয়ে গিয়েছিল৷ সেই মতোই বন্ধ রাখা হয়েছিল গেট৷ পরিবেশকর্মীদের পুলিশের তরফে বলা হয়, কোনও বাজি সিদ্ধ না নিষিদ্ধ, তা পরীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের অনুমতি প্রয়োজন৷ কারণ যদি কেউ নিষিদ্ধ বাজি সঙ্গে রাখেন এবং তা ফাটান, তা হলে আইনের চোখে তিনি নিষিদ্ধ কাজ করেছেন বলে বিবেচিত হবেন৷ এই যুক্তি দিয়ে সংগঠনগুলিকে পার্কের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ৷

এক পরিবেশবিদ তথা বিজ্ঞানী সোমেন্দ্রমোহন ঘোষের অভিযোগ, 'আমরা বাজারচলতি বাজিগুলির মধ্যে কয়েকটি কিনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে (ডেসিবল মিটার নিয়ে) সেগুলি পরীক্ষা করে দেখাতে চেয়েছিলাম, সেগুলি ৯০ ডেসিবলের শব্দসীমা মেনে বিক্রি করা হয়েছে কি না৷ বাজারে যে সব 'সিদ্ধ' বাজি বিক্রি হয়, তার একটির প্যাকেটেও '৯০ ডেসিবলের কম' গোছের কথা অথবা বাজি-নির্মাণে ব্যবহূত রাসায়নিকের নামের উল্লেখ থাকে না৷ তালা খোলার কথা বললে ক্রিকেট পিচ তৈরির কাজের জন্য পুরসভার তরফে পার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ৷ আমাদের মনে হয়, সচেতনতা-বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে যে পরীক্ষা আমরা করতে চাই, পুর-কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাতে বাধা দিয়েছে পুলিশ৷ পুরসভার কাজই যদি ভিতরে চলে, তা হলে কোনও নোটিস দেওয়া হল না কেন পুরসভা বা পুলিশের তরফে?'

এ প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমারের ব্যাখ্যা হল, 'সিদ্ধ বাজি হোক বা নিষিদ্ধ বাজি, পার্কের ভিতরে কোনও রকম বাজি ফাটাতে হলেই পুরসভার অনুমতি নিতে হয়৷ এ ক্ষেত্রে কোনও সংগঠনই আমাদের কাছে কোনও অনুমতি নেয়নি৷' তার মানে কি কালীপুজোর দিন পার্ক এলাকার বাসিন্দারা ওই পার্কে সিদ্ধ বাজি ফাটাতে চাইলে তাঁদেরও পুরসভার অনুমতি নিতে হবে? মেয়র পারিষদের উত্তর, 'হ্যাঁ, কোনও রকম বাজি ফাটাতে হলেই আগাম অনুমতির প্রয়োজন৷ ওই পার্কে বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ সকালে ও বিকেলে ভ্রমণ করতে আসেন৷ তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখাটা পুরসভার দায়িত্ব৷ বাজি ফাটাতে গিয়ে কোনও কিছু হয়ে গেলে কী হবে?' আইনি গেরোয় এ ভাবে বাজির শব্দসীমা মাপার পরীক্ষা ভেস্তে যাওয়ায় নাগরিক সমাজের একাংশ মনে করছে, শব্দ বাজির দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যর্থতা ঢাকতেই আইনরক্ষকরা এই পথ নিয়েছে৷ কলকাতার অলিগলিতে ইতিমধ্যেই শব্দ বাজি বিক্রি এবং ফাটা শুরু হয়ে গিয়েছে দেদার৷ কালীপুজোর দিন তা যে মাত্রা ছাড়াবে, এমন আশঙ্কা আগে থেকেই করছে নাগরিক সমাজ৷

অন্য দিকে, এ দিন পরিবেশ ভবনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও কলকাতা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বহুতল-কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় প্রশাসনকে৷ কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (রিজার্ভ ফোর্স) অশোককুমার বিশ্বাস যখন মঞ্চে বক্তব্য পেশ করছেন, তখন 'শেক্সপিয়র সরণি কো-অপারেটিভ'-এর তরফে একজন প্রশ্ন করেন, 'প্রতিবছরই এ ধরনের আলোচনা হয়৷ কিন্ত্ত যে সব বাজি ফাটার নয়, সে সবও ফাটে৷ নিষিদ্ধ বাজির 'সোর্স'টা বন্ধ করা যায় না?' অশোকবাবু বলেন, 'পুলিশের তরফে তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে৷ বাজি বিক্রির বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে আগামী বছর কোনও খুচরো বিক্রেতাকে লাইসেন্স দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷'
অশোকবাবু ও পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা অধ্যাপক বিনয়কান্তি দত্ত দু'জনেই প্রশাসন ও নাগরিক সমাজের যৌথ উদ্যোগের কথা বলেছেন এ দিন৷ আর সে দিনই প্রশাসনের সাহায্য চেয়ে শহরবাসীকে সচেতন করতে উদ্যোগী নাগরিকদের ফিরে যেতে হল৷

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Tweeter

Blog Archive

Welcome Friends

Election 2008

MoneyControl Watch List

Google Finance Market Summary

Einstein Quote of the Day

Phone Arena

Computor

News Reel

Cricket

CNN

Google News

Al Jazeera

BBC

France 24

Market News

NASA

National Geographic

Wild Life

NBC

Sky TV