Total Pageviews

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Friday, November 15, 2013

চাপড়ামারিতে ট্রেনের ধাক্কায় ৭ হাতির মৃত্যু

চাপড়ামারিতে ট্রেনের ধাক্কায় ৭ হাতির মৃত্যু

এই সময়, শিলিগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার: ফিরে এল ২০১০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরের রাত৷ সে বার বানারহাটের মরাঘাট জঙ্গলের কাছে ঝাঝা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মারা গিয়েছিল সাতটি হাতি৷ তিন বছরের মাথায় আবার একসঙ্গে সাতটি হাতির মৃত্যু৷ পাঁচটি পূর্ণবয়স্ক, দু'টি শাবক৷ সেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার শাখা৷ এ বার চালসার কাছে জলঢাকা রেলসেতুতে ওঠার মুখে ডিব্রুগড়গামী কবিগুরু এক্সপ্রেসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হাতির দলের৷ জখম অন্তত দশটি হাতি৷ মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে বনকর্তাদের আশঙ্কা৷

বন দন্তর সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছ'টা নাগাদ চালসার জঙ্গল দিয়ে ছুটে যাচ্ছিল কবিগুরু এক্সপ্রেস৷ লাইন পার হয়ে চাপড়ামারি থেকে ডায়নার জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল ৬০-৬৫টি বুনো হাতির দল৷ আচমকা দলটি লাইনে উঠে পড়ায় গতি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পাননি চালক৷ সজোরে ধাক্কা লেগে চাকায় আটকে দলা পাকিয়ে যায় তিনটি হাতির দেহ৷ বাকি পাঁচটি হাতিও ঘটনাস্থলেই মারা যায়৷ ট্রেনের চাকায় গেঁথে যাওয়া হাতির দেহগুলি লাইন বরাবর এগিয়ে বীভত্স ভাবে ঝুলতে থাকে সেতুর মুখে গার্ডার থেকে৷ দুমড়েমুচড়ে যায় ইঞ্জিনের ব্রেক পাইপ৷ স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়৷ গুরুতর আহত হয়ে লাইনের আশেপাশে পড়ে যায় গোটা দশেক হাতি৷ ঘুটঘুটে অন্ধকারে হাতির পাল সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে পড়ে৷ আর্তনাদ করতে করতে ট্রেনটিকে আক্রমণ করে৷ প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে৷ প্রাণভয়ে তাঁরাও চিত্কার করতে থাকেন৷ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের কর্মীরা৷ কিন্ত্ত তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি৷ ততক্ষণে খবর যায় আলিপুরদুয়ার স্টেশনে৷ আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়৷ সাড়ে আটটা নাগাদ ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে যাত্রীদের কর্ডন করে বের করে আনা হয়৷ ডিব্রুগড়ের বাসিন্দা রহিম কলিতা বলেন, 'তীব্র গতিতে ছুটছিল ট্রেন৷ আচমকা প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়৷ প্রচণ্ড চিত্কারে অন্ধকার জঙ্গল থেকে ছুটে আসতে থাকে ক্ষিন্ত হাতিরা৷ এস ৮ কামরার জানালার শিক ভেঙে ফেলে৷ তখন ধরেই নিয়েছি বাঁচব না৷'

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল নবীনচন্দ্র বহুগুণার নির্দেশে ঘটনাস্থলে যান জলপাইগুড়ির বিভাগীয় বনাধিকারিক বিদ্যুত্ সরকার৷ আলিপুরদুয়ারের বিভাগীয় রেল ম্যানেজার বীরেন্দ্র কুমার বলেন, 'কী করে দুর্ঘটনা ঘটল, সেটা তদন্ত সাপেক্ষ৷ পরে অনুসন্ধান করা হবে৷ আপাতত আমরা যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত৷ ট্রেনটি জঙ্গল থেকে বার করার চেষ্টা করছি৷' বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, 'অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক ঘটনা৷ বারবার এ রকম ঘটছে৷ রেল দন্তরকে গতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও কোনও কাজ হচ্ছে না৷ বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব যাতে কড়া পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়৷'

এই দুর্ঘটনায় ফের সামনে এসেছে রেল আর বন দন্তরের সমন্বয়ের অভাব৷ সন্ধ্যার পর গতি কমানো, রেলপথ বরাবর নজরদারি, রেলের কন্ট্রোল রুমে বনকর্মীদের মোতায়েন করে সমন্বয়সাধন, রেলপথের দু'ধারে জমি পরিষ্কার রাখা, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে৷ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে৷ কিন্ত্ত কাজ যে তেমন হয়নি, চালসার কাছে এ দিনের দুর্ঘটনা তার প্রমাণ৷ রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল নবীনবাবুর অভিযোগ, 'আমরা সর্বক্ষণ সতর্ক৷ কিন্ত্ত রেল দন্তর কোনও সহযোগিতাই করছে না৷ ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না৷ ফলে মৃত্যুমিছিল বাড়ছে৷ আমি অত্যন্ত হতাশ৷'

বন দন্তরের তরফে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে ছ'জন পশু চিকিত্সককে, যাতে আহত হাতিগুলির চিকিত্সা শুরু করা যেতে পারে৷ বনকর্মীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে জখম হাতির সন্ধানে জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছেন৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জলপাইগুড়ির বিভাগীয় বনাধিকারিক বিদ্যুত্ সরকার বলেন, 'মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে৷ তবে আসল দুশ্চিন্তা হল, চাপড়ামারির জঙ্গলেই রয়েছে ক্ষিন্ত হাতির পাল৷ ওরা ফিরে এলে কী হবে ভাবতে পারছি না৷ আপ্রাণ চেষ্টা করছি নজর রাখতে৷ মাঝে মাঝেই অন্ধকার ভেদ করে বেসে আসছে স্বজনহারা হাতির বিকট চিত্কার৷ সেই গর্জন শুনেই আর এগোতে ভয় পাচ্ছেন বনকর্মীরা৷ জখম হাতিগুলির চিকিত্সার ব্যবস্থা করছি৷'

রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য যথারীতি ঘটনার দায় স্বীকারে নারাজ৷ আলিপুরদুয়ারের বিভাগীয় কমার্শিয়াল ম্যানেজার অলকানন্দ সরকারের দাবি, 'ওই রুটে অভিজ্ঞ চালক দিয়েই ট্রেন চালানো হয়৷ তা ছাড়া, যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি এলিফ্যান্ট করিডর নয়৷ কাজেই গাফিলতির কথা বলা যাচ্ছে না৷ আপাতত কোচবিহার-জলপাইগুড়ি ভায়া ফালাকাটা রুটে ট্রেন চালানো হবে৷'

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Tweeter

Blog Archive

Welcome Friends

Election 2008

MoneyControl Watch List

Google Finance Market Summary

Einstein Quote of the Day

Phone Arena

Computor

News Reel

Cricket

CNN

Google News

Al Jazeera

BBC

France 24

Market News

NASA

National Geographic

Wild Life

NBC

Sky TV